Header Ads

ফেরাম ফসফরিকাম ( Ferrum Phosphoricum) [Ferum Phos ]

ফেরাম ফসফরিকাম ( Ferrum Phosphoricum)

ফেরাম ফসফরিকাম ( Ferrum Phosphoricum)
ফেরাম ফসফরিকাম ( Ferrum Phosphoricum)
অ্যান্টি-সোরিক ও অ্যান্টি-টিউবারকুলার
অন্য নামঃ ফেরি ফসফাস
সাধারণ নামঃ ফসফেট অফ আয়রন।
সংক্ষিপ্ত নামঃ ফেরাম ফস ( Ferrum Phos)

প্রস্তুত পদ্ধতি- ফসফেট অফ সোডিয়াম ও ফসফেট অফ আয়রন এতদুভয়ের সংমিশ্রণে ইহা প্রস্তুত হয়। বস্তুতঃ বিশুদ্ধ ফসফেট অফ আয়রন হইতে দুগ্ধশর্করা সহযোগে ইহা প্রস্তুত হয়।

ক্রিয়া- শরীরস্থ লোহিত কণাসমূহের মধ্যে লৌহ বর্তমান আছে এবং ফসফেট অফ আয়রনের ক্রিয়ায় রক্তের কণা লোহিতবর্ণ ধারণ করে। ইহা মানুষের শরীরে প্রতি সেরে প্রায় অর্ধ গ্রেন পরিমাণে বর্তমান আছে। অন্ডলালাই (albumen) শরীরস্থ প্রধান উপাদান এবং সেই অন্ডলালার মধ্যে যখন ফেরাম আছে, তখন প্রতি কোষেই ফেরামের বা লৌহের অংশ নিশ্চয়ই আছে। কোন কারণবশতঃ পেশীসমূহ মধ্যে আয়রনের ন্যূনতা ইহলে পেশীসমূহ শিথিলতা প্রাপ্ত হয়। ধমনী ও শিরাসমূহের মধ্যে লৌহের অভাব হইলে শিরা ও ধমনীসমূহ শিথিল ও স্ফীত হয় এবং ঐ স্থানে রক্ত জমে। অত্যধিক রক্ত জমিলে ধমনী ও শিরার প্রাচীরগাত্র বিদীর্ণ হইয়া রক্তস্রাবও হয়। এই অবস্থায় সূক্ষ মাত্রায় ফেরাম ফস প্রদত্ত হইলে শিথিল ধমনী ও পেশী সমূহেরর সঙ্কোচন শক্তি বৃদ্ধি করিয়া স্থানীয় রক্তাধিক্য দূরীভূত করে। বিভিন্ন স্থানের ধমনী, শিরা ও পেশীসমূহ মধ্যেই এই লবণিক পদার্থের ন্যুনতাবশতঃ নানা নামের পীড়া জন্মিয়া থাকে। যেমন, অন্ত্রস্থ পেশীসমূহের মধ্যে এই পদার্থের অভাব হইলে পেশীর শিথিলতা প্রযুক্ত রসাদি শোষিত না হওয়ার জন্য উদরাময় জন্মে। আবার অন্ত্রের মধ্যে এই পদার্থের অভাব হইলে অন্ত্রের কার্যকরী শক্তি নষ্ট হওয়ায় কোষ্ঠবদ্ধতাও জন্মিয়া থাকে।

লৌহ মাত্রেরই অক্সিজেন আকর্ষণ করিবার প্রভূত ক্ষমতা আছে। পূর্বেই বলিয়াছি যে, শরীরস্থ লোহিত কণাসমূহের মধ্যে লৌহের অংশ আছে। সুতরাং রক্তস্থিত ফেরাম নিশ্বাস দ্বারা গৃহীত বায়ু হইতে অক্সিজেন গ্রহণ করিয়া উহা সমস্ত শরীরে পরিচালিত করে  এবং এইরূপে মনুষ্যের জীবনীশক্তি সঞ্জীবিত থাকে। কোন কারণবশতঃ রক্তে ফেরামের ন্যূনতা ঘটিলে শরীর অসুস্থ এবং রক্তসঞ্চালনের দ্রুততা জন্মে। কেননা অল্প পরিমাণ লৌহ দ্বারা সমস্ত শরীরেরই অক্সিজেন সরবরাহ করিতে হইলে নিশ্চয়ই লৌহযুক্ত কনিকা দ্রুত সঞ্চলিত হইবে। 5 জন লোকের কাজ 3জনে সম্পন্ন করিতে হইলে যেমন 3 জনকে অীধক পরিশ্রম করিতে হয়, ইহাও তদ্রুপ। রক্তের এই অস্বাভাবিক দ্রত সঞ্চলনেই শরীরের তাপোৎপন্ন হয় এবং এই তাপই জ্বর নামে অভিহিত। জ্বরের সময় যে অস্থিরত সমুপস্থিত হয়, তাহার কারণও এই রক্তে লৌহাংশের অল্পতা ও তজ্জন্য শরীরে অক্সিজেনের অপ্রচুরতা।

স্থানীয় রক্তাধিক্যে এবং সাধারণ প্রদাহে সূক্ষ্ণমাত্রায় ফেরাম বড় একটা বিফল হয় না। বেদনা, লালবর্ণ, উত্তাপ, নাড়ীর দ্রুত স্পন্দন, রক্তস্রাব প্রভৃতি ফেরামের পরিচায়ক লক্ষণ। সর্বপ্রকার প্রদাহের প্রথমাবস্থাতেই ইহা ব্যবহৃত হয়, কিন্তু প্রদাহিত স্থানে রস বা পুঁজসঞ্চিত হইলে আর ফেরাম আবশ্যক হয় না। যে সমস্ত বেদনা সঞ্চালনে বৃদ্ধি এবং ঠান্ডায় উপশমপ্রাপ্ত হয়, তাহাতেই ইহার ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। রক্তে লৌহের অভাব হইলে সর্দি লাগে, সুতরাং তরুণ সর্দিতে ইহা ব্যবহৃত হয়।

রক্তে উপযুক্ত পরিমানে লৌহময় পদার্থ থাকে বলিয়াই রক্ত লোহিতবর্ণ ধারণ করে। লৌহের অংশ হ্রাসপ্রাপ্ত হইলেই রক্তে শ্বেত কনিকার বৃদ্ধি দৃষ্ট হয় এবং অ্যানিমিয়া, ক্লোরোসিস আদি রক্তাল্পতা পীড়ার উদ্ভব হয়; সুতরাং ঐ সমস্ত পীড়াতেও ফেরাম ব্যবহৃত হয়। ফেরাম ব্যবহৃত হইলে যথা পরিমাণ অক্সিজেন আকর্ষিত হইয়া পীড়া আরোগ্য হয়।

পূর্বোল্লিখিত বিষয়গুলি অনুধাবন করিলে উপলব্ধি হইবে যে, যাবতীয় প্রদাহিক পীড়ায় প্রথমাবস্থায় ইহা অত্যুৎকৃষ্ট ফলপ্রদ ঔষধ। কিন্তু প্রথমাবস্থাতেই যদি উপযুক্ত পরিমাণ সূক্ষ্ণ মাত্রায় ফেরাম প্রদত্ত না হয়, তাহা হইলে পটাসিয়াম ক্লোরাইড বা কেলি মিউরয়োটিকাম নামক আর একটি লাবণিক পদার্থের অভাব সূচিত হয়; কেলি মিউরের সহিত লৌহের বিশেষ সম্বন্ধ দৃষ্ট হয়। রক্তাস্থিত ফাইব্রিন বা তত্তুবৎ পদার্থ মধ্যে কেলি মিউরেরর বিশেষ প্রভাব থাকার জন্য কেলি মিউরই ঐ অন্তুময় পদার্থকে রক্তের মধ্যে দ্রবীভূতত করিয়া রাখে। কোন প্রদাহিক পীড়ায় উপযুক্ত সময়ে ফেরামের অভাব পূর্ণ না হইলে যখন কেলি মিউরের অবস্থা আসে, তখন রক্তস্থিত ফাইব্রিন দ্রবীভূতাবস্থায় না থাকিয়া অকার্যকরীরূপে নানা দ্বার দিয়া নির্গত হইয়া বিভিন্ন রোগ নামে অভিহিত হইয়া থাকে। যেমন উহা নাসিকা হইতে নিঃসৃত হইলে সর্দি, ফুসফুস হইতে নির্গত হইলে কাশিসহ শ্লেষ্মা নিঃসরণ, ফুসফুস পথে নির্গমনকালীন ফুসফুসের কোষসমূহ উত্তেজিত ও প্রদাহিত হইলে নিউমোনিয়া নামে অভিহিত হয়, ইত্যাদি।

অ্যাকোনাইট যেরূপ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মেরুদন্ডস্বরূপ, ডাঃ শুসলারের দ্বাদশটি টিশু রেমেডির মধ্যে ফেরাম ফসও তদ্রুপ। বস্তুতঃ বাইওকেমিক চিকিৎসক এই ঔষধ ব্যতীত একটি দিনও চলিতে পারেন না। প্রদাহ, প্রদাহজনিত যাবতীয় পীড়ার প্রথমাবস্থায় এবং লালবর্ণের রক্তস্রাবে ইহা অব্যার্থ।

পরিচায়ক লক্ষণ-
  1. সর্বপ্রকার পীড়ার প্রথমাবস্থায় যখন প্রদাহ বর্তমান থাকে, তখন ইহা্ আবশ্যকীয় ঔষধ। যেমন- (ক) জ্বরের প্রথমাবস্থায় যখন উচ্চ গাত্রোত্তাপ, দ্রুত নাড়ী, অস্থিরতা, জলপিপাসা, মুখ চক্ষু রক্তবর্ণ, সর্বাঙ্গে বেদনা, শিরঃপীড়া, ক্যারোটিড ধমনীর উল্লষ্ফন প্রভৃতি থাকিলে এই ঔষধ বিশেষ সাফল্যের সহিত ব্যবহৃত হয়। (খ) পীড়াক্রান্ত স্থান উত্তপ্ত, লালবর্ণ ও দপদপানি বা টাটানি (সময়ে সময়ে জ্বালাও থাকে) এই তিনটি লক্ষণ ষ্ফোটক, বেদনা ইত্যাদি যে কোন প্রদাহিক পীড়ায় দৃষ্ট হইবে, ফেরাম ফস তাহাতে নিশ্চয়ই সুফল দেখাইবে। এই কয়েকটি লক্ষণ স্মরণ থাকিলে বিবিধ পীড়ার নাম শ্রবণ করিবার প্রয়োজন হইবে না। আর বেদনাক্রান্ত স্থান নাড়িলে বা স্পর্শ করিলে অত্যন্ত যন্ত্রণা অনুভূত হয়, ঠান্ডা প্রয়োগে আরাম বোধ করে।
  2. হৃষ্টপুষ্ট, বলবান ও রক্তাধিক্য ব্যক্তির পীড়ায় যেরূপ উপযোগী, ক্ষীণকায়, দুর্বল ও রক্তহীন ব্যক্তিদিগের স্থানীয় রক্তাধিকাতেও তদ্রুপ উপযোগী। 
  3. যে সমস্ত ব্যক্তির চর্ম অতিশয় পাতলা ও স্বচ্ছ এবং যাহাদের চর্ম দিয়া রক্তাতা দৃষ্ট হয়। 
  4. মস্তিস্কে রক্তের প্রধাবনবশতঃ দপদপানি শিরঃপীড়া। চক্ষু ও মুখমন্ডলের আরক্ততা। অজীর্ণ ভুক্তদ্রব্য বমন, নাসিকা হইতে রক্তস্রাব, প্রলাপ বকা, উত্তেজিত হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়। মনে হয় যেন মাথায় হাতুড়ি মারিতেছে। চুলের গোড়াগুলিতে পর্যন্ত বেদনা। শীতল জলে মাথা ধুইলে আরাম-নড়াচড়া ও স্পর্শে বৃদ্ধি। 
  5. সর্বপ্রকার চক্ষুপীড়ায় প্রথমাবস্থায় যখন চক্ষু লালবর্ণ, উত্তপ্ত, বেদনাযুক্ত ও জ্বালাজনক হয়। মনে হয় যেন চক্ষুর মধ্যে বালু পড়িয়াছে। চক্ষুতে পুঁজ জন্মিবার পূর্বেই এই ঔষধ স্পর্শে বৃদ্ধি। 
  6. সর্বপ্রকার কর্ণপীড়ায় 1ম সংখ্যক লক্ষণের (খ) এ বর্ণিত প্রদাহিক লক্ষণ থাকিলে অতি উৎকৃষ্ট। ঠান্ডালাগাবশতঃ বেদনা। নড়াচড়ায় বেদনায় বৃদ্ধি। 
  7. দন্তশূলে 1ম সংখ্যক লক্ষণের (খ) এ লিখিত লক্ষণ থাকিলে। উষ্ণ জলের কুল্লিতি বৃদ্ধি-শীতল জলে উপশম। স্পর্শ ও চাপনে বৃদ্ধি। 
  8. প্রদাহবশতঃ জিহ্বা পরিস্কার ও রক্তবর্ণ। 
  9. মস্তকে রক্তাধিক্যবশতঃ অনিদ্রা। 
  10. টনসিলাইটিসে যখন 1ম সংখ্যক লক্ষণের (ক ও খ) এ বর্ণিত লক্ষণ থেকে যখন চমৎকার। টনসিলের বেদনা প্রথমে দক্ষিণে, পরে বামে যায়।
  11. নতুন ও পুরাতন উভয় প্রকার গলক্ষতেই-জ্বর থাকুক, অথবা নাই থাকুক-গলা বেদনা থাকিলেই ইহার প্রয়োগ বাঞ্ছনীয়। বক্তা ও গায়কদিগের গলক্ষত (sore throat) ও স্বরভঙ্গ (Hoarseness)। 
  12. যাহাদের ঠান্ডা সহ্য হয় না এবং সামান্যমাত্র ঠান্ডাতেই সর্দি হয় (ক্যাল্ক-ফস সহ পর্যায়ক্রমে)
  13. সর্বপ্রকার পাকস্থলীর পীড়ায় যখন ভুক্তদ্রব্য অজীর্ণবস্থায় মল ও বমির সহিত নির্গত হয়, তখন ইহা মহৌষধ। পাকস্থলীর প্রদাহে সামান্য মাত্র খাদ্য গ্রহণেও পাকস্থলীতে বেদনা, ভার ও টান বোধ হয়। ফেরাম ফসের জিহ্বা পরিস্কার। মাংস ও দুগ্ধে অনিচ্ছা- শীতল পানীয়ে প্রবল আগ্রহ। 
  14. যে কোন পীড়ার সহিত, অথবা একক অজীর্ণ ভুক্তদ্রব্য বমন হইলেও ইহা একমাত্র ঔষধ। কৃমির উত্তেজনাবশতঃ ঐরূপ বমন হইলেও উপযোগী। 
  15. গ্রীষ্মকালীন উদরাময়ে কুন্থনবিহীন জলবৎ মল। ঠান্ডা লাগিয়া উদরাময়ে ইহা উল্লেখেযোগ্য ঔষধ। উপরে চাপ দিলে যখন বেদনা অনুভূত হয়। 
  16. দন্তোদ্গমকালীন উদরাময়ে জলবৎ তরল ভেদ সহ জ্বর, চক্ষু ও মুখ রক্ত মিশ্রিত অথবা কেবল উজ্জল লাল রক্ত। উদরে চাপ দিলে বেদনা বোধ হয়। এই সঙ্গে জ্বর ও অন্যান্য প্রদাহ লক্ষণ থাকিলে। 
  17. ওলাওঠায় পূর্ববর্ণিত উদরাময়ের লক্ষণ সহ অস্থিরতা ও জল পিপাসা থাকিলে। বিকালে চক্ষুতারকা সঙ্কুচিত, গোঙানি প্রভৃতি লক্ষণে কেলি ফস সহ পর্যায়ক্রমে।  
  18. আমাশয়েও মলত্যাগকালীন কুন্থন থাকে না। বাহ্যে শ্লেষ্মা ও রক্ত মিশ্রিত অথবা কেবল উজ্জল লাল রক্ত। উদরে চাপ দিলে বেদনা বোধ হয়। এই সঙ্গে জ্বর ও অন্যান্য প্রদাহ লক্ষণ থাকিলে।
  19. সরলান্ত্রের, জরায়ুর ও প্রসবদ্বারের প্রদাহ এবং অন্ত্রস্থ পেশীসমূহের শৈথিল্যবশতঃ কোষ্ঠবদ্ধ। 
  20. মুত্রপথের পথরোধকারী পেশীসমূহের শৈথিল্যবশতঃ প্রস্রাব ধারণ করিবার ক্ষমতাহীনতা। অবিরত মূত্রত্যাগ প্রবৃত্তি। 
  21. মূত্রনালীর প্রদাহবশতঃ প্রস্রাব ইহয়া যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ হইয়া গিয়া মূত্রবিকার হইলে নেট্রাম ফস সহ ব্যবহার্য। 
  22. গনোরিয়ার প্রথমাবস্থায় স্রাব না হইয়া যখন মূত্রনালী প্রদাহিত, আরক্ত, লালবর্ণ প্রস্রাব ও বেদনা থাকে, তখন অতি উত্তম। কখনও বা রক্তপ্রস্রাব হয়। 
  23. অর্শ, শ্বাসনালী ইত্যাদি যে কোন স্থান হইতেই হউক না কেন, উজ্জল লালবর্ণ রক্তস্রাব নিঃসৃত হইলে এবং ঐ রক্ত নির্গত হইবার অনতিবিলম্বে জমাট বাধিয়া গেলে ইহা অতি উৎকৃষ্ট।
  24. স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়ের শ্লৈষ্মিক-ঝিল্লির শুষ্কতাবশতঃ সহবাসকালীন কষ্ট ও তজ্জন্য অনিচ্ছা প্রকাশ। ৎ
  25. প্রসবের পর ভ্যদালব্যথা, প্রসবান্তিক ক্ষতাদি ও গাত্রবেদনার জন্য অদ্বিতীয়। প্রসবের পর ব্যবহারে যাবতীয় কষ্টকর ভবিষ্যৎ পীড়ার হাত হইতে নিষ্কৃতিলাভ করা যায়।
  26. আঘাত ও আঘাতের ফলে সর্বপ্রকার পীড়ায় ফেরাম ফস অপ্রতিদ্বন্দী। 
  27. উত্তপ্ত তৈল, জল অথবা যে কোন কারণেই হউক না কেন, দগ্ধ হইলে ফেরম ফসের আভ্যন্তরীন ও বাহ্য ব্যবহার বিহিত। 
  28. বক্তা ও গায়কদিগের অীতরিক্ত স্বরযন্ত্র চালনাবশতঃ স্বরভঙ্গ। ঠান্ডা লাগিয়া, অথবা ঘর্মরোধজনিত স্বরভঙ্গ। গলাবেদনা ও গলার মধ্যে শুষ্কতা অনুভুত হয়। 
  29. সর্বপ্রকার সর্দির প্রথমাবস্থায় যখন জ্বর-জ্বরবোধ, মস্তক ভারবোধ, চক্ষু ছলছল করা প্রভৃতি প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। 
  30. বক্ষঃসংক্রান্ত যাবতীয় রোগে শ্বাসনালীর উত্তেজনাবশতঃ গলা সুড়সুঢ় করিয়া শুষ্ক খুকখুকে কাশি। গয়ার উঠে না। সময় সময় কাশির চোটে বক্ষে বেদনা বোধ হয়। ঠান্ডা লাগিয়া কাশির উৎপত্তি। উন্মুক্ত বায়ুতে ও রাত্রিকালে কাশির ‍বৃদ্ধি-গৃহমধ্যে থাকিলে উপশম। শ্লেষ্মার সহিত উজ্জল লালবর্ণের রক্ত নিঃসৃত হইলে উত্তম ফল পাওয়া যায়। 
  31. ঠান্ডা লাগিয়া ঘাড়ের পেশীসমূহ আড়ষ্ট ও বেদনাযুক্ত। বিভিন্ন সন্ধি ও পেশীসমূহের বাতবেদনায় উপযোগী। বেদনায় পীড়াক্রান্ত স্থান উত্তপ্ত, লালবর্ণ ও দপদপানি বা টাটানি থাকিলে। নড়াচড়ায় ও অধিক সঞ্চালনে বেদনা ‍বৃদ্ধি-সামান্য সঞ্চালনে ও উত্তাপে উপশম। 
  32. রক্তাল্পতা রোগে ক্যাল্ক-ফসের পর বিশেষ উপযোগী। অজীর্ণাবস্থায় খাদ্যাদি মলের সহিত নির্গত হয়। মুখমন্ডল রক্তশূণ্য। মস্তক উত্তপ্ত, হস্তপদ শীতল, সামান্য কারণেই ঠান্ডা লাগে। 
  33. দ্বিপ্রহর 1-2 টায় জ্বর আসা ফেরামের বিশেষ লক্ষণ। সাথে গাত্রোত্তাপ, দ্রুত নাড়ী, অস্থিরতা, জলপিপাসা, মুখ চক্ষু রক্তবর্ণ, সর্বাঙ্গে বেদনা, শিরঃপীড়া লক্ষণ উপস্থিত থাকে। 
  34. সর্বপ্রকার পীড়াই সঞ্চালনে, চাপনে, স্পর্শে, আহারকালীন, শীতল বায়ুতে, রাত্রিকালে এবং প্রত্যেুষে বৃদ্ধি। 
  35. স্থিরভাবে থাকিলে ঠান্ডা প্রয়োগে যন্ত্রণার উপশম।
বিশেষত্ব- জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি সর্বপ্রকার পীড়ার প্রদাহিক অবস্থায় ইহাই একমাত্র মহৌষধ। যে কোন পীড়ার সহিত জ্বর থাকুক না কেন, যদি ঐ জ্বরে উচ্চ গাত্রতাপ, দ্রুত নাড়ী, শিরঃপীড়া, রক্তবর্ণ মুখ, চক্ষু, অস্থিরতা, জলপিপাসা ইত্যাদি প্রদাহিক লক্ষণ থাকে, তাহা হইলে ইহা অব্যর্থ। ষ্ফোটক, চক্ষুপীড়া, কর্ণপীড়া ইত্যাদি যে কোন রোগ হউক না কেন, আক্রান্ত স্থান উত্তপ্ত, লালবর্ণ ও দপদপানিযুক্ত হইলে এই ঔষধ কখনও নিষ্ফল হয় না। খাদ্যদ্রব্য অজীর্নবস্থায় বমনের , অথবা মলের সহিত নির্গত হওয়া ইহার বিশেষত্ব। নানা স্থান হইতে উজ্জল লালবর্ণের রক্ত নিঃসৃত হওয়া ইহাতে নির্দিষ্ট। 

সতর্কতাঃ রাত্রিকালে এই ঔষধ ব্যবহার করলে অনিদ্রা দেখা দেয় উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ প্রয়োজন পড়লে 12X শক্তির নিম্নে ব্যবহার করতে নাই। 

[ফেরাম ফসফরিকাম ( Ferrum Phosphoricum) [ Ferrum Phos.] biocomic medicine for fever, pain and other acute condition, Best remedy for headache, hemicrania, meningitis, apoplexy, delirium,  inflammatory disease, eye and ear disease, toothache, haemorrhage of teeth, stomach disease, vomiting, diarrhea, cholera, dysentery, constipation, haemorrhoids or piles, tonsillitis, sore throat, coryza, bleeding of nose, gonorrhea, syphilis, dysmenorrhoea, menorrhagia, morning sickness, inflammation of the ovary, female diseases, after delivery complication,  abscess, mastitis, lumbago, rheumatism, hip-joint diseases, result of injury, fall, traumatism, bruises, sprains, burns and scalds, hernia, hoarseness, erysipelas, pain, diphtheria, bronchitis, pneumonia, emphysema, consumption, asthma, cough, anemia, appendicitis, haemopthysis, palpitation,  varicose veins, plague, pox, measles, diseases of spleen, ulcers, insomnia, fever, জ্বর, হৃৎস্পন্দন, অ্যাপেন্ডিসািইটিস, সর্বপ্রকার ক্ষত, হাম, বসন্ত, প্লেগ, কাশি, হাঁপনী, ফুসফুস প্রদাহ,শ্বাসনালী প্রদাহ, হার্নিয়া, স্বরভঙ্গ, বেদনা, ডিপথিরিয়া, দগ্ধ হওয়া, আঘাত জনিত পীড়া, বাত, কটিবাত, স্ফোটক, স্তনগ্রন্থি প্রদাহ, প্রমেহ, মূত্ররোধ, অন্ডকোষের প্রদাহ, টনসিল প্রদাহ, গলক্ষত পাইলস, রক্তস্রাব, যকৃতের পীড়া, নাসিকা হতে রক্তস্রাব, সর্দি রোগে ব্যবহৃত ঔষধ] [শারিরিক ও মানসিক লক্ষণ থাকা জরুরী]
Also known as: FP, Ferum Phos. F.P. Ferunm p. ফেরাম ফস, বায়োকেমিক ঔষধ ফেরাম ফস, 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.