Header Ads

Homeopathy


হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা যে উন্নত ধরনের চিকিৎসা, ভারত উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান এলাকার  অধিকাংশ শিক্ষিত ব্যক্তিই স্বীকার করেন। অনেকেই পরীক্ষা করে বা ঔষুধ প্রয়োগ করে দেখেছেন যে, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে স্থায়ী ফললাভ হয় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। হোমিও চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন অবশ্যই পালন করা দরকার নতুবা উপকার পাওয়া কষ্টকর হয়। হোমিও ঔষুধ গুলি সুস্থ্য মানব শরীরের স্থূলমাত্রায় প্রয়োগের ফলে যে সকল লক্ষণ সমষ্টি তৈরী করে তাই হচ্ছে ঔষধ চিত্র। আমরা ম্যাটেরিয়া মেডিকা থেকে জানতে পারি প্রকৃত লক্ষণ সমূহ। ডাক্তারগণ ঔষধ নির্বাচনের জন্য রেপার্টরী, ম্যাটেরিয়া মেডিকা, থেরাপিউটিক লক্ষণ, রোগীর শরীর ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন। 

ঔষধ নির্বাচনঃ অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তির ধাতুগত, চরিত্রগত ও মানসিক লক্ষণসমূহ সংগ্রহ করে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এই সব লক্ষণের সাথে সবচেয়ে সঙ্গতীপূর্ণ ঔষধ লক্ষণ মিলিয়ে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করতে হয়। এ পদ্ধতির জন্য বিজ্ঞ ডাক্তারগণ অনেক সময় নিয়ে ঔষধ নির্বাচন করেন। তবে বর্তমান সময়ে কম্পিউটারাইজড রেপার্টরী ও মেটেরিয়া মেডিকা থাকায় এই কাজ পূর্বের ডাক্তারদের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। তবে কম্পিউটার যতই সাহায্য করুক না কেন মূল ভূমিকাটা বিজ্ঞ ডাক্তারকে নিতে হয় এবং সঠিক ঔষধ নির্বাচনে অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসে। 

নিষিদ্ধ আহার ও পানীয়ঃ কোন কোন ডাক্তার উগ্র আহার বা পানীয় গুরুপাক খাদ্যাদি বর্জন করতে বলেন। তবে পিপারমেন্ট, কপ্পুর, কফি, চা, ধুমপান, কাঁচা পেয়াজ, রশুন, আদা, লবঙ্গ, টক, বড় শাক পাতা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য বর্জন করতে বলেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে বস্তু দিয়ে প্রস্তুতকৃত ঔষুধ সেই খাদ্য গ্রহন না করাই শ্রেয়, যেমন নেট্রাম মিওর (খাবার লবন), এলিয়াম সেপা (পিয়াজ/রশুন), ক্যারিয়া পাপায়া (পেপে) ইত্যাদি প্রয়োগ কালীন সময়ে বন্ধনিতে উল্লেখিত খাবার গুলি না খাওয়া উচিত বলে অনেকে মতদেন।   

ঔষুধ সংরক্ষণঃ ঔষুধ কিনে এনে যে ভাবে খুশি রাখলে অল্প দিনের মধ্যেই তার গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। আগুনের তাপ ও রোদের তাপ ঔষুধর গুণগত মান নষ্ট করে। কাছাকাছি উগ্র ধরণের কোন দ্রব্যাদি রাখা উচিত নয়। উগ্রগন্ধ ও ধোয়া বিশিষ্ট যায়গায় ঔষুধ না রাখাই ভাল। দীর্ঘদিন থেকে রাখা ঔষুধ যার রং এর পরিবর্তন হয়ে গেছে এমন ঔষুধ ব্যবহার করা উচিত নয় এবং ঔষুধ সব সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও  ঘেরা যায়গায় রাখা ভাল।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.