Header Ads

FAQ

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কি?
উত্তরঃ 1796 সনে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কৃত হয়। এর নিয়ম-নীতি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সময়ের সাথে সাথে হাজার হাজার ভেষজ, মিনারেল, টক্সিক পদার্থ, নোষড সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে শক্তিকৃত করে সুস্থ্য মানবদেহে স্থুল মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়েছে। যাদের সুস্থ শরীরে শক্তিকৃত ঔষধ প্রয়োগ করা হয় তাদের এ শাস্ত্রমতে প্রুভার বলা হয়। প্রুভারের দেহে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে তা আবার উক্ত ঔষধের উচ্চ শক্তি প্রয়োগে দুরিভুত হয়েছে। ঔষধ সৃষ্ট লক্ষণ গুলিই মেটেরিয়া মেডিকায় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শক্তিকৃত ভেষজ, মিনারেল, টক্সিক পদার্থ, নোষড উপাদান গুলিই প্রকৃতপক্ষে হোমিও ঔষধ। বস্তুত নির্দষ্ট পর্যায়ে শক্তিকৃত ঔষধে পদার্থের মূল উপাদানের অস্তিত্ব বর্তমান থাকে না কিন্তু তার কার্যক্ষমতা ঠিকই রয়ে যায়। যা মানব শরীরের মানসিক ও শারীরিক লক্ষণাবলী দূর করতে সক্ষম।   

বাইওকেমিকি ঔষধ কি? 
উত্তরঃ সর্বসাধারণ ইহাকে হোমিও ঔষধ বলে জানে। বিশেষতঃ আমাদের দেশের হোমিও শাস্ত্রমতের ডাক্তারগণ তাদের চেম্বারে প্রেসক্রিপশন বিহীন ঔষধের ব্যবস্থা করে থাকেন এবং বেশীর ভাগ ডাক্তারগণ হোমিও ও বাইওকোমিক ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন। কাজেই সর্বসাধারণ ইহার প্রভেদ সম্পর্কে অবগত নন। মুলতঃ বাইওকোমিক ঔষধ গুলি মানব শরীরে বিদ্যমান বিভিন্ন পদার্থ যা আভ্যন্তরীন ভাবে গ্রহন করে মানব শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রয়োজনীয় উপাদনের অভাব পুরণ করা হয়। বাইওকোমিক ও হোমিও ঔষধের মধ্যে কোন ধরনের মিল নেই। ইহার কার্যপদ্ধতিও সম্পূর্ণ ভিন্ন। ডাক্তারগণ বাইওকোমিক ঔষধ স্বল্প মাত্রায় শরীরে প্রয়োগ করে থাকেন। মোট আবিষ্কৃত ঔষধ সংখ্যা 12টি।

হোমিও ঔষধ কতদিন শরীরে কাজ করে?
উত্তরঃ হোমিও ঔষধের ক্রিয়া কাল প্রতিটি ঔষধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঐ ঔষধটি প্রুভারের শরীরে কত দিন স্থায়ী ছিল সেটিই উহার ক্রিয়া কাল। কোন রোগ লক্ষণ উপশম হয়ে গেলে নতুন করে আর ঔষধ গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।

হোমিও ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি? 
উত্তরঃ নির্দিষ্ট মাত্রায় গৃহীত হোমিও ঔষধ সুস্থ শরীরে কৃত্রিম রোগ লক্ষণ তৈরী করতে পারে। সে ক্ষমতা ঔষধের রয়েছে। কাজেই অপ্রয়োজনে অথবা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে প্রতিক্রিয়াহীন মনে করে ঔষধ গ্রহণ করা উচিত নয়। এ ঔষধগুলি নিশ্চিত রূপে ক্রিয়া করতে সক্ষম কেননা প্রতিটিই সুস্থ্ শরীরে পরীক্ষা করে লক্ষন সংগ্রহ করা হয়েছে।

হোমিও ঔষধ গ্রহনকালে কি কি বর্জন করা উচিৎ? 
উত্তরঃ প্রিপারমেন্ট জাতীয় পদার্থ, কপ্পুর, কফি, উত্তেজক খাবার ঔষধের ক্রিয়া কমিয়ে দেয়। যে ভেষজ ব্যবহার করে ঔষধ তৈরী তা গ্রহণ করলে অনেক সময় ঔষধের ক্রিয়া ব্যাহত হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়- এলিয়াম সেপার ক্ষেত্রে পেঁয়াজ না খাওয়া ভাল।

কয়েকটি হোমিও ঔষধ একত্রে খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ হোমিও নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে কোন সমস্যাতে ১টি ঔষধই ব্যবহার করা উচিত। তবে অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ কয়েকটি ঔষধ একত্রে দিয়ে থাকেন। তাদের সাথে আলোচনা করে এটুকু বুঝতে পেরেছি যে, যদি কোন ঔষধ অন্য ঔষধের অনুপুরক হয় অথবা ইনিমিক্যাল বা ঐ ঔধরের প্রতিশেধক না হয় তাহলে তা ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই নূন্যপক্ষে 30 থেকে 45 মিনিট বিরতী দিতে হবে।

ঔষধ খালি পেটে খাওয়া যাবে কি?   
উত্তরঃ কিছু কিছু ঔষধ খালি পেটে খেলে রোগ লক্ষণ বেড়ে যায় যেমন খালি পেটে আর্সেনিক এ্যালবাম। তবে বেশীর ভাগ ঔষুধই খালি পেটে খাওয়া যায় তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারকে জেনে নিতে হবে তিনি যে ঔষধ আপনাকে দিয়েছেন তার প্রুভিং এর সময় খালিপেটে বৃদ্ধি আছে কি না। যদি থাকে তাহলে খালি পেটে না খাওয়ই ভাল। হোমিও ঔষধ খাবার খাওয়ার 30 মিনিট পরে খাওয়া বেশি উত্তম বলে অনেক ডাক্তার মত দিয়ে থাকেন।

প্যাটেন্ট ঔষধ কি? 
উত্তরঃ হোমিওপ্যাথি মতে আবিষ্কৃত ঔষর মূলতঃ নিম্নশক্তি ব্যবহার করে একটি বা কয়েকটি ঔষধ একত্রে করে স্থুল মাত্রায় রোগীদের সিরাপ বা ট্যাবলেট ফরমে দেয়া হয়। যা কখনও মানব শরীরে যথা নিয়মে প্রুভিং করা হয় নাই। ইহা সাধারণত কোন কোন ডাক্তারগণ তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে মানব শরীরে প্রয়োগ করে থাকেন। হয়ত ফলও পেতে পারেন কিন্তু প্যাটেন্ট ঔষধ কোন নিয়মনীতি অনুযায়ী বা পদ্ধতিগত ভাবে হোমিও ঔষধ নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.