Header Ads

জিঙ্কাম মেটালিকাম Zincum Metalicum [ Zinc-M- জিঙ্কাম মেট ]


জিঙ্কাম মেটালিকাম Zincum Metalicum [ Zinc-M- জিঙ্কাম মেট ]

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ জিঙ্কাম মেটালিকাম (Zincum Metalicum)

[দস্তা ধাতু]

ইহার লক্ষণসংগ্রহার্থে পরীক্ষার ফলে বুঝা যায় ইহা মস্তিস্কের অবসাদের চিত্র অঙ্কিত করিয়াছে। “পরিশ্রান্তি” এই কথাটির মধ্যে জিঙ্কের ক্রিয়া বহুলাংশে অর্ন্তর্নিহিত রহিয়াছে। জীর্ণ তন্তুসমূহের যতক্ষণ সংস্কার না হয, তদপেক্ষা দ্রুতগতিতে তন্তুনিচয়ের ক্ষয়প্রাপ্তি ঘটে। উদ্ভেদ অথবা স্রাব বিলুপ্ত হইবার ফলে শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। স্নায়ুমন্ডলের লক্ষণগুলি সর্বাপেক্ষা গরুত্বপূর্ণ। জীবনীশক্তির অপূর্ণতা এবং বৈকল্য। মস্তিস্কের আসন্ন পক্ষাঘাত। কোন রোগের ক্রমিক গতির মধ্যে অবসাদযুক্ত কালে ইহা নির্দেশিত হয়। মেরুদন্ডের পীড়াসমূহ। পেশীস্পন্দন। মনে হয় যেন চর্ম এবং মাংশের মধ্যবর্তী স্থানে বেদনা। স্রাব নির্গত হইলে প্রভূত পরিমাণে উপশম। ভয় পাইয়া অথবা উদ্ভেদের বিলুপ্তি হেতু তান্ডব রোগ যাহাতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও পেশীসমূহ স্পন্দিত হয়। আক্ষেপ, তৎসহ মলিন মুখমন্ডল এবং উত্তাপহীনতা। অধিকমাত্রায় রক্তহীনতা ও তৎসহ চূড়ান্ত অবসন্নতা। রক্তের লোহিত কণা সকলের সংখ্যা হ্রাস করিয়া দেয় এবং ঐ গুলির ধ্বংস সাধন করে। উদ্ভেদযুক্ত রোগসমূহ যখন প্রতিঘাত প্রাপ্ত হয় এবং উদ্ভেদগুলি বাহির হইবার পরে আবার বসিয়া যায়। মস্তিস্ক এবং মেরুদন্ডের লক্ষণবিশিষ্ট পুরাতন রোগে, কম্পন, আক্ষেপিক পেশীস্পন্দন এবংচাঞ্চল্য ও অস্থির ভাবযুক্ত পা, এই লক্ষণগুলিই হইল নির্দেশক।

মন।- স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা। আওয়াজ শ্রবণে অত্যধিক মাত্রঅয় অভিভূত হইয়া পড়ে। কার্য করিতে, কথা বলিতে অনিচ্ছা বা বিরক্তি। শিশুকে যাহা কিছু বলা যায় সে তারই পুনরাবৃত্তি করে।কোন একটি কাল্পনিক অপরাধের জন্য তাহাকে গ্রেফতার করা হইবে বলিয়া ভয় হয়। বিষন্নতা। অলসভাব এবং জড়ভাবাপন্ন। আংশিক পক্ষাঘাত।

মস্তক।- মনে হয় সে বামদিকে পড়িয়া যাইবে। অতি অল্পমাত্রায় মদ্যপান করিলে শিরঃপীড়া হয়। মস্তিস্কের শোথ। মস্তক একদিক হইতে অন্যদিকে সঞ্চালিত করিতে থাকে। বালিশে মাথা গোঁজে। মস্তকের পশ্চাৎদিকে বেদনা, তৎসহ মস্তকের শীর্যদেশে বেদনা। মস্তক এবং হস্তগুলি স্বয়ং গতিশীল। মস্তিস্কের পরিশ্রান্তি বা ক্লান্তি; অত্যধিক পঠনাদিতে ব্যাপৃত থাকার ফলে পরিশ্রান্ত হইয়া বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের শিরঃপীড়া হয়। ললাট শীতল; মস্তিস্কের পদদেশ উত্তপ্ত। মস্তকের মধ্যে গর্জনধ্বনি। ভয় পািইয়া চমকিয়া উঠে।

চক্ষু।- চক্ষুর ভিতরের দিকের কোণে ত্রিকোণাকার মাংসাঙ্কুর; জ্বালা, অশ্রুনিঃসরণ, চুলকানি। চক্ষুতে চাপবোধ, যেন চক্ষুগুলি মস্ককের মধ্যে প্রচাপিত হইয়া রহিয়াছে। অক্ষিপত্রগুলির চুলকানি এবং স্পর্শকাতরতা, চক্ষুর ভিতরের দিকের কোন সমূহেরও এই একই অবস্থা। অক্ষিপত্রগুলি ঝুলিয়া পড়ে। অক্ষিতারা এপাস ওপাশ ঘুরিতে থাকে। দর্শনীয় ক্ষেত্রের অর্ধেক অন্ধকারাচ্ছন্ন; তেজস্কর কিছু খাইলে বৃদ্ধি।টেরাদৃষ্টি। ক্ষীণ এবং কষ্টদায়ক দৃষ্টিশক্তি; তৎসহ প্রচন্ড শিরঃপীড়া। লাল এবং প্রদাহযুক্ত শুক্রমন্ডল; চক্ষুর ভিতরের দিকের কোণে অধিকতর লালবর্ণ এবং প্রদাহ

কর্ণ।-ছিন্নবৎ, সূচীভেদবৎ বেদনা, বাহিরের দিকে স্ফীতি। পচা গন্ধবিশিষ্ট পুঁজনিঃসরণ।

নাসিকা।- নাসিকার উপরের দিকে টাটানি-ব্যথা; নাসিকার মূলদেশে চাপবোধ।

মুখমন্ডল।- ওষ্ঠগুলি মলিন এবং মুখবিবরের কোণগুলি ফাটা ফাটা। চিবুকের উপর চুলকানিযুক্ত উদ্ভেদ, চিবুক রক্তিমাভ। মুখমন্ডলের অস্থিগুলির ছিন্নবৎ যন্ত্রণা।

মুখবিবর।- চন্তগুলি শিথিল, মাঢ়ী হইতে খোলাভাব। মাঢ়ীগুলি হইতে রক্ত পড়ে। দাঁত কড়মড় করে। রক্তের ন্যায় আস্বাদ। জিহ্বার উপর ফোষ্কাসমূহ। কষ্টকর দন্তোদ্গম; শিশু দূর্বল; পাগুলি শীতল এবং অস্থিরতাপূর্ণ।

গলদেশ।- শুষ্ক; চটচটে শ্লেষ্মা গলাখাঁকর দিয়া অবিরত বাহির করিয়া ফেলিবার ইচ্ছা। গলদেশ এবং কষ্ঠনলীতে কাঁচা কাঁচা ভাব এবং শুষ্কতা। গিলিবার সময় গলদেশের পেশীসমূহে বেদনা।

পাকস্থলী।- হিক্কা, বমনোদ্বেগ এবং তিক্ত শ্লেষ্মা বমন। পাকস্থলীতে জ্বালা, মিষ্টদ্রব্য খাইয়া বুকজ্বালা। মদ্যপান অতি সামান্য পরিমাণে করিলেও তাহা সহ্য করিতে পারে না। দিবসে আন্দাজ ১১ ঘটিকাতে দূর্দান্ত ক্ষুধার উদ্রেক। [সালফার] আহার কালে সাংঘাতিক পেটুকের পরিচয় দেয়; খাদ্য বেশ শীঘ্র খাইয়া উঠিতে পারে না। পরিপাকশক্তি সংশ্লিষ্ট পেশীসমূহের দূর্বলতাহেতু অগ্নিমান্দ্য। পাকস্থলী যেন চরমভাবে অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছে এইরূপ অনুভূতি।

তলপেট।- সামান্য আহারের পরে তলপেটে বেদনা, তৎসহ পেটফাঁপা। নাভির নিম্নে েএকটি ক্ষুদ্র স্থানে বেদনা। গুড়্ গুড় ধ্বনি এবং মোচড়ানি; স্ফীতি। বায়ুসঞ্চয় হেতু শূলবেদনা, তৎসহ তলপেট ভিতর দিকে ঢুকিয়া পড়ে। [ প্লাম্বাম] যকৃতের বিবৃদ্ধি, কাঠিন্যপ্রাপ্তি এবং টাটানি-ব্যথা। মূত্রগ্রন্থির চারিদিকের মেদের অভাব হেতু ইহার গতিশীলতার বৃদ্ধিপ্রাপ্তি এবং সেই কারণে শরীরের অন্যস্থানে বা যন্ত্রে প্রত্যাবৃত্ত (Reflex action) ক্রিয়া প্রকাশ।  আহারান্তে তলপেট মোচড়াইতে থাকে।

প্রস্রাব।-কেবলমাত্র যখন সে পশ্চাৎদিকে বক্র হইয়া উপবেশন করে তখনই সে মূত্রত্যাগ করিতে সমর্থ হয় । ভাল থাকিবার সময়ে হঠাৎ মূত্ররোধ। ভ্রমণকালে, কাসি ও হাঁচিবার সময় অনিচ্ছায় মূত্রনির্গমন।

সরলান্ত্র।- কোষ্ঠবদ্ধতা, মল কঠিন এবং ছোট ধরণের। শিশুদের কলেরার ন্যায় ‍ুদরাময়, তৎসহ কুন্থন; সবুজ, আমযুক্ত মল। উদরাময় হঠাৎ বন্ধ হইয়া যায় এবং তাহার পরে প্রকাশ পায় মস্তিস্কের লক্ষণাবলী।

পুংজননেন্দ্রিয়।- অন্ড স্ফীত, উপর দিকে টানা। প্রচন্ড লিঙ্গোদ্রেক। রেতঃস্খলন, তৎসহ বহুবিধ কাল্পনিক ভীতির সঞ্চার। বিটপস্থানের কেশপতন। রেতঃরজ্জু পর্যন্ত অন্ডগুলি উপর দিকে আকর্ষিত হইয়া থাকে।

স্ত্রীজননেন্দ্রিয়।- ডিম্বকোষে বেদনা, বিশেষতঃ বামদিকে; স্থির হইয়া থাকিতে পারে না। [ভাইবার্ণাম] প্রসুতিদের কামোম্মত্ততা। ঋতুস্রাব অতীব বিলম্বিত, অবরুদ্ধ; প্রসবান্তে ক্লেদময় স্রাব বন্ধ হইয়া যায়। [ পালসেটিলা] স্তনগুলি বেদনাদায়ক। স্তনবৃন্তে টাটানি-ব্যথা। রাত্রিতে ঋতুস্রাব অধিক পরিমাণে নির্গত হয়। [ বোভিষ্টা] ঋতুস্রাবকালে যাবতীয় উপসর্গের হ্রাসপ্রাপ্তি। [ইউপিয়ন; ল্যাকেসিস] স্ত্রীলোকদিগের যাবতীয় লক্ষণের সহিত বিদ্যমান থাকে অস্থিরতা, শীতলতা, মেরুদন্ডের ব্যথা এবং পাগুলির অস্থিরতা। ঋতুকালের পূর্বে ও সময়ে শুষ্ক কাসি।

শ্বাসযন্ত্র।- বুকে অস্থির নিম্নে জ্বালাকর চাপবোধ। বক্ষঃস্থলে সংঙ্কোচন এবং কর্তনবৎ বেদনাবোধ। স্বরভঙ্গ। দূর্বলতা উৎপাদনকারী, আক্ষেপিক কাসি; মিষ্টদ্রব্য খাইলে বৃদ্ধি। কাসিবার সময়ে শিশু জননেন্দ্রিয় চাপিয়া ধরে। হাঁপানি জাতীয় ব্রঙ্কাইটিস, তৎসহ বক্ষঃস্থলে সঙ্কোচনবোধ। শ্বাসকৃচ্ছতা, শ্লেষ্মানির্গমন আরম্ভ হইবার উপক্রম হইবা মাত্র- ইহার উপশম। 



পৃষ্ঠদেশ।- কোমরে বেদনা। কেহ পৃষ্ঠদেশ স্পর্শমাত্র করেলে তাহা সহ্য করিতে পারে না। [ সালফার; থেরিডিয়ন; চায়না] স্কন্ধগুলির মধ্যদেশে টানভাব এবং হুলফুটানবৎ বেদনা।  মেরুদন্ডের উপদাহ। পৃষ্ঠদেশের সর্বশেষ অথবা কটিদেশের সর্বপ্রথম মেরুদন্ডাস্থির আশেপাশে অপ্রবল কন্কনানি; উপবেশনকালে বৃদ্ধি। মেরুদন্ডের উপর দিয়া জ্বলন। গ্রীবাদেশের পশ্চাৎভাগে অথবা কোন প্রকার পরিশ্রম করিবার সময়ে ক্লান্তিরোধ। স্কন্ধাস্থিতে ছেদন করার ন্যায় বেদনা। 


প্রত্যঙ্গাদি।- খঞ্জভাব, দুর্বলতা, কম্পন এবং বিবিধ পেশীসমূহের স্পন্দন। প্রচন্ড শীতে কর ও চরণগুলি প্রভৃতির স্ফীতি, প্রদাহ এবং চুলকানি। [ এগারিকাস] পা গুলি নিরন্তর নড়াচড়া করিতে থাকে; স্থির হইয়া থাকিতে পারে না। পায়ের উপর বৃহদাকার স্ফীত শিরা। ঘর্মাক্ত। খেচুনি, তৎসহ মলিন মুখমন্ডল। বেদনা আড়াআড়ি ভাবে হইতে থাকে, বিশেষতঃ ঊর্ধ্বদিকের প্রান্তে। চরণতল স্পর্শকাতর। পদ বিক্ষেপকালে মেঝের উপর সমগ্র চরণতল পাতিয়া দেয়। 

নিদ্রা।- নিদ্রাকালে ক্রন্দন করিয়া উঠে; শরীরে ঝাঁকুনি দিয়া উঠে; ভয় পাইয়া জাগরিত হয়, একদৃষ্টে তাকাইয়া থাকে। নিদ্রাকালে পাগুলি স্নায়বিক উত্তেজনা হেতু সঞ্চালিত হইতে থাকে। রাত্রিতে নিদ্রাকালে অজ্ঞাতসারে উচ্চঃস্বরে চিৎকার করিয়া উঠে। স্বপ্নভ্রমাণ বা নিশি-পাওয়া। [ ক্যালি ফস]। 

চর্ম।- শিরার স্ফীতাবস্থা, বিশেষতঃ নিম্ন প্রত্যঙ্গে। [পালসেটিলা] চরণ ও পাগুলির উপর সুড়সুড়ি অনুভূতি, মনে হয় যেন ছারপোকাসমূহ চর্মের উপর দিয়া ধীরে ধীরে চলিতেছে এবং এই জন্য নিদ্রা ব্যাহত হয়। একজিমা, বিশেষতঃ রক্তহীন এবং স্নায়ুমন্ডলেসম্ভূত রোগগ্রস্ত ব্যক্তিদিগের। ঊরু এবং জানুর গহ্বরে চুলকানি। উদ্ভেদসমূহ প্রকাশিত হইবার পরে প্রত্যাবর্তন করে। 

জ্বর।- পুনঃপুন জ্বরের আক্রমণ, পৃষ্ঠদেশের উপর দিয়া জ্বর হইতে উৎপন্ন নিম্নাভিমুখী শীতহেতু কম্পন। প্রত্যাঙ্গাদি শীতল। নৈশঘর্ম। পায়ের উপর প্রচুর ঘর্ম। 

অবস্থান্তর-সংঘটক।- ঋতুকালে, স্পর্শে, দিবসে বেলা ৫টা হইতে ৭টার মধ্যে; মধ্যাহ্ন ভোজনের পরে, মদ্যপান করিলে বৃদ্ধি। আহারকালে, স্রাব আরম্ভ হইলে, উদ্ভেদসমূহ দেখা দিলে উপশম। 

সম্বন্ধ।- তুলনীয়ঃ এগারিকাস; ইগ্নেশিয়া; প্লাম্বাম; আর্জেন্টম নািইট্রিকাম; পালসেটিলা; হেলিবোরাস; টিউবারকিউলিনাম। 

প্রতিবন্ধকঃ নাক্স ভমিকা; ক্যামোমিলা। 

স্রাব প্রতিষ্ঠিত বা আরম্ভ হইলে উপশম সম্বন্ধে তুলনীয় ঔষধগুলি হইলঃ ল্যাকেসিস; ষ্ট্যানাম, মস্কাস। 

আরও তুলনীয়ঃ- 
জিঙ্কাম এসেটিকাম ( রাত্রি-জাগরণের কুফল এবং ইরিসিপেলাস; মস্তিস্ক মনে হয় টাটাইয়া রহিয়াছে। রেডমেকারের দ্রবণ যাহা এসেটিক এসিডের মধ্যে জিঙ্ক দিয়া প্রস্তুত হয় তাহা যাহারা অনুপযুক্ত নিদ্রা লাভ করিয়া স্বীয় কর্তব্যকর্ম করিতে বাধ্য হয় তাহাদের জন্য ব্যবস্থেয়। (এই দ্রবণের ৫ ফোঁটা কিছু জলের সহিত মিশ্রিত করিয়া এক মাত্রা প্রস্তুত করিতে হয়। দৈনিক এই প্রকার তিন মাত্রা সেব্য)। 

জিঙ্কাম ব্রোমেটাম ( দন্তোৎদ্গম, তান্ডবরোগ যাহাতে অনিচ্ছায় পেশীসমূহ স্পন্দিত হয়, মস্তিস্কে জল সঞ্চয়)। 

জিঙ্কাম অক্সিডেটাম ( বমনোদ্বেগ এবং অম্ল আস্বাদ। শিশুদের হঠাৎ বমন। পিত্তবমন এবং উদরাময়। তলপেট ফাঁপা। জলবৎ মল, তৎসহ কুন্থন। ইনফ্লুয়েঞ্জার পরে দূর্বলতা। আগুনের ন্যায় রক্তবর্ণ মুখমন্ডল অত্যধিক তন্দ্রালুতা, তৎসহ স্বপ্নক্লিষ্ট অতৃপ্তিকর নিদ্রা। রাত্রিজাগরণের ফল-জিঙ্কাম এসেটিকামের সদৃশ। মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রম- ঐ একই ঔষধ)। 

জিঙ্কাম সালফিউরিকাম পুনঃপুন প্রয়োগ না করিলে ইহা চক্ষুর কনীনিকার অস্বচ্ছতাকে পরিস্কার করিয়া ফেলে। উচ্চশক্তি ব্যবস্থেয়; কনীনিকার প্রদাহ; অক্ষিপত্রের মধ্যে দানার উদ্ভব; জিহ্বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত; বাহু এবং পাগুলিতে খিল ধরে; কম্পন এবং খেঁচুনি। হস্তমৈথুনের ফলে রোগী নিজের শরীর সম্বন্ধে রোগকল্পনা করে, স্নায়বিক শিরঃপীড়া। 

জিঙ্কাম সায়েনেটাম ( মেনিঞ্জাইটিস এবং সেরিব্রোস্পইন্যাল মেনিঞ্জাইটিস; তথা সকম্প পক্ষাঘাত, তান্ডবরোগ ও হিষ্টিরিয়ারোগ চিকিৎসায় ইহা কিয়ৎ পরিমাণে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে)। 

জিঙ্কাম আর্স ( তান্ডবরোগ, রক্তহীনতা, যৎসামান্য পরিশ্রমে চরম পরিশ্রান্তি। অবসন্নতা এবংনিম্ন প্রত্যঙ্গাদির পীড়া)। 

জিঙ্কাম কার্ব ( প্রমেহ রোগের পরে উৎপন্ন গলদেশের পীড়া, টনসিলগুলি স্ফীত, উহাদের উপর নীলাভ ছোপ)। 

জিঙ্কাম ফস ( কটি দদ্রু ১এক্স) । 


জিঙ্কাম মিউর ( শয্যার বস্ত্রাদি খুটিবার প্রবণতা; ঘ্রাণ এবং আস্বাদ সম্বন্ধীয় অনুভূতি বিশৃঙ্খলাপ্রাপ্ত; চর্মের উপর নীলভ সবুজ রঙের ছোপসমূহ; শীতল এবং ঘর্মাক্ত)। 

জিঙ্কাম ফস ( মস্তক এবং মুখমন্ডলের স্নায়ুশূল; মেরুদন্ডের ক্ষয়প্রাপ্তি ও তৎসহ তজ্জন্য পেশীসমূহের গতিবিধায়ক ক্রিয়া অসামঞ্জস্য; এই পীড়ায় বিদ্যুৎবৎ যন্ত্রণা, মস্তিস্কের শ্রান্তি, দুর্বলচিত্ততা এবং শিরাঘূর্ণন; যৌন উত্তেজনা এবং নিদ্রাহীনতা)। 

এমন ভ্যালেরিয়্যানা ( প্রচন্ড স্নায়ুশূল, তৎসহ অত্যধিক স্নায়বিক উত্তেজনা)। 

জিঙ্কাম পিক্রিকাম ( মুখমন্ডলের পক্ষাঘাত; মস্কিস্কের পরিশ্রান্তি, মূত্রগ্রন্থির প্রদাহে শিরঃপীড়া; রেতঃস্খলন; স্মরণশক্তিহীনতা এবং শক্তিরাহিত্য)। 

ক্রম।- ২য় হইতে ৬ষ্ঠ শক্তি পর্যন্ত। 

তথ্যসূত্রঃ- মেটেরিয়া মেডিকা- ডাঃ উইলিয়াম বোরিক এম. ডি

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.