Header Ads

গ্লোনোইন Glonoine [ গ্লোন- Glon] [Nitroglycerin - নাইট্রো-গ্লিসারিণ]

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্লোনোইন (Glonoine)

গ্লোনোইন Glonoine [ গ্লোন- Glon] [Nitroglycerin - নাইট্রো-গ্লিসারিণ]

(গ্লিসারিণ + অক্সিজেন + নাইট্রোজেন )

প্রুভারের নামঃ ডাঃ কনসটেনটাইন হেরি (Dr. Constantine Hering)

উৎসঃ ইহা একটি রাসায়নিক পদার্থ

ক্রিয়াস্থলঃ মস্তিস্ক, স্নায়ু, ম্যাসটয়েড, শ্বাসযন্ত্র

ধাতুগত লক্ষণঃ গরমকাতর, সোরা মায়াজম। 

রোগের কারণঃ সূর্যতাপ, আগুনের তাপ, ভয়, আঘাত, চুল কাটিলে। 

হোমিওপ্যাথিক গ্লোনোইন (Glonoine) ঔষধটি আমেরিকা ও জার্মানীতে ‘প্রুভিং’ হইয়াছে। প্রুভিং হইতে এই ঔষধের স্নায়বিক বৈকল্যসমূহ পরিস্ফুট হইয়া প্রকাশ পাইয়াছে। অতীব অবসন্নতা, কাজ করিবার মোটেই ইচ্ছা থাকে না; চূড়ান্ত উত্তেজনা, যৎসামান্য প্রতিকূল আচরণ করিলে সহজেই সে উত্তেজিত হইয়া উঠে, এবং তাহার পরে মস্তকে রক্তসঞ্চয় হেতু বিবিধ লক্ষণ প্রকাশ পায়। কেবলমাত্র ইহার ষষ্ঠ শক্তি সমগ্র শরীরে চুলকানির সৃষ্টি করিয়াছিল এবং তাহার পরে ব্রণ ও স্ফোটকের উৎপত্তি হইয়াছিল, ইহা ছাড়া বিকৃত ক্ষুধাও দেখা দিয়াছিল। 


রক্তসঞ্চয় হেতু শিরঃপীড়া এবং অত্যধিক উত্তাপ অথবা শীতলতা হইতে উদ্ভুত মস্কিস্কে রক্তাধিক্যের জন্য ইহা একটি মহৌষধ। মস্তিস্ক এবং রজঃলোপ সম্বন্ধীয় বিপর্যয়ে অথবা রজঃরোধ হেতু উপসর্গে ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। একটি মুক্ত অগ্নিকুন্ডের সম্মুখে উপবেশনকালে শিশুরা রোগগ্রস্ত হয় মস্তিস্ক এবং হৃদপিন্ডে রক্তের উচ্ছাস। রক্তসঞ্চলন ক্রিয়া সম্পর্কে অবস্মাৎ এবং প্রচন্ড বৈকল্যের প্রবণতা। সমগ্র শরীরে স্পন্দন অনুভূতি। মস্তিস্কে রক্তসঞ্চয়হেতু তীব্র আক্ষেপ। স্পন্দনযুক্ত বেদনা সমূহ। কোন স্থানে যে রহিয়াছে তাহা সে বুঝিয়া উঠিতে পারে না। সায়েটিকা, তৎসহ শীতল এবং শিথিল প্রত্যঙ্গাদি। সমুদ্রিক বিবমিষা। 

মস্তক।- বিভ্রান্তি (Confusion), তৎসহ শিরোঘূর্ণন। সর্দ্দিগর্মির কুফলসমূহ; গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক আলোকে কার্য করিবার ফলে মস্তকে উত্তাপ অনুভূতি। মস্তক ভারী বলিয়া মনে হয়, কিন্তু বালিশের উপর মাথা রাখিতে পারে না। মস্তকের চারিধারে কোন প্রকার উত্তাপ সহ্য করিতে পারে না। মস্তকের আচ্ছদন খুলিয়া দিলে উপশম । দপ্দপানিযুক্ত শিরঃপীড়া। মস্তক এবং মুখমন্ডরে স্নায়ুশূল। অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। সোজা খাড়া হইয়া থাকিতে গেলেই শিরোঘূর্ণন। মস্তিস্কে রক্তসঞ্চয় । মস্তক মনে হয় যেন বিরাট আকার ধারণ করিয়াছে, যেন মাথার খুলিটি মস্তিষ্কের তুলনায় অতি ক্ষুদ্র। সূর্য অনুসরণকারী শিরঃপীড়া; ইহাতে সূর্য ক্রমশঃ যতই উপরে উঠিতে থাকে ততই শিরঃপীড়ার বৃদ্ধি এবং যতই নিম্নগামী হইতে থাকে শীরঃপীড়ার ততই উপশম হইতে থাকে। মস্তকে আঘাত অনুভূত হয়, ইহা নাড়ীর স্পন্দনের সহিত সমকালীন ক্রিয়ারূপে প্রকাশ পায়। ঋতুর পরিবর্তে শিরঃপীড়া। গর্ভাবস্থায় স্ত্রীলোকদের মস্তকে দ্রুত রক্তসঞ্চয়। সন্ন্যাসরোগে আক্রান্ত হইবার উপক্রম। মেনিঞ্জাইটিস (Meningitis)। 

চক্ষু।- প্রত্যেক বস্তুর অর্ধাংশ আলোকিত ও অর্থাংশ ছায়াযুক্ত দেখায়। অক্ষরগুলি ক্ষুদ্রতর বলিয়া মনে হয়। চক্ষুর সম্মুখে অগ্নিস্ফলিঙ্গসমূহ দৃষ্ট হয়। 

মুখবিবরস্পন্দনশীল দন্তবেদনা। 

কর্ণ।- দপ্দপানি; হৃদপিন্ডের প্রত্যেক স্পন্দন কর্ণে শুনা যায়; পরিপূর্ণতার অনুভূতি। 

মুখমন্ডল। রক্তিমাভ, তপ্ত, সীসকের ন্যায় রঙ, মলিন; ঘর্মযুক্ত; নাসিকার মূলদেশে বেদনা; মুখেরে উপর বেদনা। মুখমন্ডল ঈষৎ কৃষ্ণবর্ণ। 

গলদেশ।- গ্রীবাতে পরিপূর্ণতা অনুভূতি। কলার খুলিয়া না দিয়া থাকিতে পারে না। কর্ণের নিম্নদেশে গলা ফুলিয়া উঠে এবংবন্ধ হইয়া যায়। 

পাকস্থলী।- রক্তশূণ্য রোগীদের উদরশূল, তৎসহ ক্ষীণ রক্তসঞ্চলন। বমনোদ্বেগ এবং বমন। পাকস্থলীর ঊর্ধ্বভাগ অবসন্ন, কামড় মারা এবং শূণ্য অনুভূতি। অস্বাভাবিক ক্ষুধা। 

তলপেট।- কোষ্ঠকাঠিন্য, তৎসহ চুলকানি ও বেদনযুক্ত অর্শ, এবং সেই সঙ্গে মল নির্গমনের পূর্বে এবং পরে চিমটিকাটার ন্যায় বেদনা। উদরাময়; প্রচুর কালচে এবং পিন্ডবৎ মল। 

স্ত্রীজননেন্দ্রিয়।- ঋতু বিলম্বিত অথবা হঠাৎ থামিয়া গিয়া মস্তকে রক্ত সঞ্চয়ের সৃষ্টি করে। রজঃলোপকালে মুখমন্ডল রক্তিমাভ। 

হৃদপিন্ড।- শ্রান্তি উৎপাদক ক্রিয়া। পক্ষসঞ্চালনবৎ শব্দ। শ্বাসকৃচ্ছতা সহ হৃদকম্পন। পর্বতারোহন করিতে পারে না। কেন প্রকার পরিশ্রম করিলে হৃদপিন্ডে রক্ত ছুটিয়া যায় এবং অবসন্নতার সৃষ্টি হয়। সমগ্র শরীরে অঙ্গুলির অগ্রভাগ পর্যন্ত দপ্দপানি। 

প্রত্যাঙ্গাদি।- সমগ্র শরীরে চুলকানি, প্রত্যঙ্গাদিতে ইহার তীব্রতা অধিকতর। বামবাহুর সম্মুখস্থ মাংসপেশীতে বেদনা। যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গে টানবৎ বেদনা। পৃষ্ঠদেশে বেদনা। 

অবস্থান্তর-সংঘটক।- মদ খাইলে উপশম। রৌদ্র; সূর্যরশ্মি এবং উম্মুক্ত অগ্নির সান্নিধ্য প্রভাবে বৃদ্ধি। ঝাঁকুনি, সম্মুখদিকে অবনত হইলে কেশ কাটিলে বৃদ্ধি। পিচফল খাইলে অথবা উত্তেজক কিছু সেবনের ফলে বৃদ্ধি। শয়নে বৃদ্ধি। প্রাতে ৬ ঘটিকা হেইতে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বৃদ্ধি। বাম দিকে বৃদ্ধি। 

সম্বন্ধ।- ক্রিয়ানাশকঃ একোনাইট, ক্যাম্ফর, কফিয়া, নাক্স ভমিকা। 
অনুপুরকঃ বেলেডোনা 

তুলনীয়ঃ এমিল নাইট; বেলেডোনা; ওপিয়াম; স্ট্যামোনিয়াম, ভিরেট্রাম ভিরিডি। 

ক্রম।- ৬ষ্ঠ হইতে ৩০ শক্তি পর্যন্ত। 
তথ্যসূত্র- মেটেরিয়া মেডিকা- ডাঃ উইলিয়াম বোরিক এমডি

[সতর্কতাঃ  যে কোন ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন]

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.