Header Ads

কেলি সালফুরিকাম (Kali Sulphuricum ) [ কেলি সালফ - Kali Sulph. ]

কেলি সালফুরিকাম (Kali Sulphuricum ) [ Kali Sulph.]

কেলি সালফুরিকাম (Kali Sulphuricum ) [ কেলি সালফ - Kali Sulph. ]
কেলি সালফুরিকাম (Kali Sulphuricum ) [ কেলি সালফ - Kali Sulph. ]
 অ্যন্টিসোরিক ও অ্যান্টিটিউবারকুলার

ভিন্ন নামঃ পটাসিয়াম সালফেট, কেলি সালফ
সাধারণ নামঃ সালফেট অফ পটাস
সংক্ষিপ্ত নামঃ কেলি সালফ (Kali Sulph)

প্রস্তুত পদ্ধতি- ইহা আগ্নেয়গিরিতে উৎপন্ন হয়। ইহার ৪টি বা ৬টি কোন থাকে এবং ইহা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানাবিশিষ্ট, বর্ণহীন ও শক্ত হয়। ইহার মূল ঔষধ বিচুর্ণ পদ্ধতি অনুসারে ঔষধরূপে প্রস্তুত হয়। ইহা অ্যালকোহলে দ্রব হয় ন, কেবল ১০ ভাগ শীতল জল ও ৩ ভাগ উষ্ণ জলে দ্রব হয়। কেহ কেহ বলেন যে, ১৯ ভাগ ঠান্ডা জল ও ৩ ভাগ উষ্ণ জল মিশ্রিত করিয়া সেই মিশ্রিত জলে কেলি সালফ নিক্ষেপ করিলে দ্রব হয়। এই জন্য ইহা ট্রাইটুরেশানরূপে প্রস্তুত করাই বিধেয়। ইহার আস্বাদ লবণাক্ত, তিক্ত ও তীব্র ঝাঁজবিশিষ্ট।

ক্রিয়া- এই পদার্থ শরীরস্থ এপিডার্মিস বা চর্মের উপরস্থ পাতলা আবরণ ও এপিথিলিয়ামের উপর কার্য করিয়া থাকে। শরীরের প্রত্যেক কোষ এবং জীবনীশক্তির গতিকে অব্যাহত রাখিতে অক্সিজেনই প্রধান কার্যকরী। রক্তস্থ লৌহময় পদার্থের সহিত কেলি সালফেট মিশ্রিত হইয়া শরীরের সর্বত্র অক্সিজেন প্রদান করিয়া থাকে। কোষ, কোষমধ্যস্থ রস, পেশী, স্নায়ু, রক্তকাণিকা ইত্যাদি শরীরের সর্বত্রই কেলি সালফের কার্য রহিয়াছে। শরীরস্থ তৈলাক্ত পদার্থের উপর ইহার বিশেষ প্রভাব রহিয়াছে। শরীরে যথোপযুক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত পদার্থ থাকিলে লোমকুপসমূহ পরিস্কার থাকে। আবার লোমকুপসমূহ পরিস্কৃত থাকিলে শরীরস্থ অকার্যকরী ময়লাসমূহ লোমকুপ পথে বাহির হইয়া যায় এবং বাহ্য বায়ু হইতে অক্সিজেন নামক গ্যাস রক্ত মধ্যে প্রবেশ করিয়া রক্তকে পরিস্কার রাখে। কিস্তু চর্ম ইত্যাদি স্থানে যখন কেলি সালফের অভাব হয়, তখন লোমকুপসমূহ সঙ্কুচিত হইয়া যায় এবং তজ্জন্য লোমকুপ পথে তৈলাক্ত পদার্থসমূহ নিঃসৃত হইতে না পারায় চর্ম শুষ্ক, কর্কশ ও অপরিস্কৃত হয়। চর্ম হইতে খুশকি উঠিতে থাকিলে কেলি সালফের অভাব বুঝা যায়। শুধু যে তৈলাক্ত পদার্থ ও নানাবিধ অকার্যকর পদার্থ শরীর হইতে নিঃসৃত হইতে না পারার ফলে চর্ম হইতে খুশকি উঠে তাহা নহে, ঐ সমস্ত পদার্থ লোমকুপ পথ হইতে ফিরিয়া পুনরায় রক্তস্রোতে মিলিত হইলে রক্ত দুষিত হয়। অপর পক্ষে চর্মের সুস্থাবস্থায় বাহ্য বায়ু হইতে অক্সিজেন লোমকুপ পথে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া রক্তকে বিশুদ্ধ করিতেছিল, কিন্তু কেলি সালফের অভাববশতঃ লোমকুপ সঙ্কুচিত হইয়া যায় বলিয়া বাহির হইতে অক্সিজেন প্রবেশ না করায় উপযুক্ত পরিমাণ অক্সিজেনের অভাবে ফুসফুসকে অক্সিজেনের জন্য অধিক পরিশ্রম করিতে হয়। ফুসফুসের এই দ্রুত পরিশ্রম করার ফলেই শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং রোগীও অস্থির হইয়া শীতল বায়ু প্রাপ্তির আকাঙ্খা জ্ঞাপন করে।

তৈলাক্ত পদার্থের উপর ইহার যে অসাধারণ প্রভাব আছে, তাহা ইতিঃপুর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। শরীরে কেলি সালফের ন্যূনতা হইলে যে কোন দ্বার দিয়াই হউক ইহা নিঃসৃতি হইয়া যাইবেন। ইহার অভাবসূচক সর্বপ্রকার স্রাবই পিচ্ছিল ও আঠা বা চটচটে এবং স্রাবের বর্ণ হরিদ্রা বা সবুজ হয়। ইহার অভাব হইলেই জিহ্বার উপর হরিদ্রাবর্ণের পিচ্ছিল ময়লা জম্মে।

ইহা চর্মের উপর তীব্র ক্রিয়া প্রকাশ করে বলিয়া বসন্ত, হাম ইত্যাদি চর্মপীড়া আরোগ্যন্তে চর্ম হইতে খুশকি উঠা এবং উহার অমসৃণতা কেলি সালফ ব্যবহারে নিবারিত হয়। চর্মের উপর ক্রিয়া থাকার জন্যই বসন্ত, হাম ইত্যাদি পীড়ার দানা সকল কোন কারণে বসিয়া গেলে ইহার ব্যবহারে দানা সকল পুনরুত্থিত হয়। নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি ইত্যাদি পীড়ায় ঘর্ম না হইলে ফেরাম ফসের সহিত এই ঔষধ ব্যবহার করিলে অতি সত্বরই ঘর্ম হইয়া পীড়ার উপশম হয়। যখন কোন রোগ সন্ধ্যাকাল হইতে ও উত্তাপে বৃদ্ধি হয় এবং মধ্য রাত্রি হইতে ও শীতলতায় হ্রাসপ্রাপ্ত হয়, তখন ইহার অভাবজনিত ক্রিয়ার স্পষ্ট নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই ঔষধ সর্বপ্রকার প্রদাহের তৃতীয়াবস্থায় ব্যবহৃত হয়।



পরিচায়ক লক্ষণ ( Characteristic Symptoms)-
  1. এই ঔষধের অধিকারভুক্ত যাবতীয় পীড়ার লক্ষণই বৈকালে, উত্তাপ্ত রুদ্ধ গৃহে, তৈলাক্ত দ্রব্য ভক্ষণে বৃদ্ধি এবং মধ্যরাত্রির পর, শীতল উম্মুক্ত বায়ুতে ও শীতল স্থানে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। 
  2. যে কোন পীড়ার যে কোন স্থান হইতেই স্রাব নিঃসৃত হউক না কেন, যদি উহা পিচ্ছিল হরিদ্রা বা সবুজবর্ণের হয়, তাহা হইলে এই ঔষধ বিশেষ উপযোগী। জিহ্বাতেও পিচ্ছিল হরিদ্রাবের্ণের লেপ থাকে। 
  3. শ্বাসনালীর যাবতীয় পীড়ায় পূর্বোক্ত প্রকারের গয়ার এবং হ্রাস বৃদ্ধির লক্ষণ থাকিলে। বক্ষে ঘড়ঘড় শব্দ হয়-কাশিতে কাশিতে অনেক কষ্টে দুশ্চেদ্য হরিদ্রবর্ণের শ্লেষ্মা গলায় আসিয়া আবার ভিতরে চলিয়া যায়। কখনও বা অতি সহজে প্রভূত শ্লেষ্মা উঠে। 
  4. স্নায়ুশূল, বাত অথবা যে কোন প্রকারের বেদনাই হউক না কেন, যদি বেদনা স্থান পরিবর্তনশীল হয়। 
  5. বসন্ত ও হামে যখন দানা সকল বসিয়া যায়, অথবা কোন কারণে না উঠে। 
  6. চর্মরোগ কোন মলম ইত্যাদিতে বসিয়া যাইবার পর কোন পীড়া হইলে উহার দ্বারা লুপ্ত চর্মরোগ পুনঃপ্রকাশিত হয়। 
  7. সর্বপ্রকারের জ্বরে হ্রাস বৃদ্ধির লক্ষণ দ্বারাই এই ঔষধ ব্যবহৃত হইয়া থাকে। অতিশয় অস্থিরতা এবং শীলতায় তাহার উপশম। চর্ম শুষ্ক ও খসখসে। পুরাতন জ্বর বৈকালে হাত পা চোখ মুখ জ্বালা করিয়া বেগ দেয়। 
  8. ওলাউঠা পীড়ার প্রথমাবস্থায়। কলেরায় যখন রোগী অতিশয় অস্থিরতা প্রকাশ করে এবং উপশম আশায় কেবল ঠান্ডা স্থানে থাকিতে চাহে ও শীতল জল পান করে, তখন অতি সুন্দর ঔষধ। 
বিশেষত্ব ( Peculiarity) স্ত্রী জননেন্দ্রিয়, পুরুষ জননেন্দ্রিয়, মলদ্বার, ফোড়া, কার্বাঙ্কল, শ্বাসনালীর পীড়া প্রভৃতি যাহাই হউক না কেন, যদি নিঃসৃত স্রাব বা গয়ার হরিদ্রা বা সবুজবর্ণের পিচ্ছিল হয়, তাহা হইলে এই ঔষধ অত্যুৎকৃষ্ট। ইহার জিহ্বাতেও হরিদ্রাবর্ণের পিচ্ছিল লেপ থাকে। সন্ধ্যাকালে, উত্তপ্ত রুদ্ধ গৃহে পীড়া-লক্ষণের বৃদ্ধি এবং বিমুক্তশীতল বাতাস, মধ্য রাত্রির পর এবং সর্বপ্রকার শীতলতায় পীড়া লক্ষণের হ্রাস হওয়া এই ঔষধের প্রধাণ প্রয়োগ লক্ষণ। লুপ্ত চর্মরোগকে বাহির করিবার ক্ষমতা এই ঔষধে বিশিষ্টরূপে বর্তমান আছে। এই ঔষধের স্রাব, পীড়া-লক্ষণের হ্রাস বৃদ্ধি, লুপ্ত উদ্ভেদের পুনরুত্থান ক্ষমতা, শুষ্ক ও খসখসে চর্মকে মসৃণ করিবার ক্ষমতা এবং বেদনার প্রকৃতি এই পাঁচটি বিষয় স্মরণ থাকলে এই ঔষধ অধিকারভুক্ত যাবতীয় রোগেরই চিকিৎসা সহজসাধ্য হইবে। 

মানসিক লক্ষণ (Mental Symptom) রোগী সহজেই ক্রুদ্ধ হয়, খিটখিটে ও একগুয়ে। পরিশ্রম করিতে এবং লোক সঙ্গে থাকতে স্পৃহা নািই। নিরানন্দ ভাব, উৎকন্ঠা, ভয় প্রভৃতি সন্ধ্যাকালে বৃদ্ধি। নিদ্রায় হাঁটে, চমকান, চীৎকার করা ও কথা বলা। রোগীর পড়িয়া যাইবার ভয় আছে। পরিবর্তনশীল মানসিক অবস্থা। 

শক্তি- 6X শক্তি সর্বদাই ব্যবহৃত হয়।

[কেলি সালফুরিকাম (Kali Sulphuricum ) [ কেলি সালফ - Kali Sulph.] Best Medicine for headache, Dandruff, coryza, piles, Diarrhea, gonorrhea, cystitis, Syphilis, menstruation, amenorrhoea, leucorrhoea, cholera, hoarseness, rheumatism, pox, measles skin disease, fever, চর্মপীড়া, মাসিকের গোলযোগ, বসন্ত, হাম, সর্দি, গনোরিয়া, বাত বেদনা, অজীর্ন, অর্শ, উদরাময়, কোষ্টকাঠিন্য প্রমেহ, খুসকি রোগে ব্যবহৃত ঔষধ ] [শারিরিক ও মানসিক লক্ষণ থাকা জরুরী]

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.