Header Ads

Skin Disease Scabies And Its Homeopathic Treatment ( খোস পাঁচড়া- চর্মরোগ)


Skin Disease Scabies And Its Homeopathic Treatment  ( খোস পাঁচড়া- চর্মরোগ)

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস, বেশী ভেজা কাপড়ে থাকতে হয় এমন পেশা, আদ্র ও ভেজা ঘরে অবস্থান, অপরিচ্ছন্ন পোশাক, দুষিত পানির ব্যবহার, আক্রান্ত রোগীর বিছানা, পোশাক তোয়ালে বা গামছা ব্যবহার প্রভৃতি কারণে রোগের বিস্তার লাভ করে। আমাদের দেশে অনেক রোগী এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। চিকিৎসার দেরি হলে নিজে ও পরিবারের অন্যদের মধ্যে এর প্রদুর্ভাব বিস্তার হতে থাকে। রোগের মূলকারণ হিসাবে এক শ্রেণীর জীবানুকে দায়ী করা হয়ে থাকে যা চিকিৎসা না হলে চক্র আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

রোগের লক্ষণ হিসাবে বলা যেতে পারে আক্রান্ত স্থানের চর্মে প্রদাহিত হয় এবং মশার কামড়ের ন্যায় উদ্ভেদ সৃষ্টি হয়। কিছু কাল পরেই জলপূর্ণ ফুস্কুড়িতে পরিণত হয় এবং পরে পুঁজ জমে। রাত্রি বেলায় এই কীটানু তাহাদের বাসস্থান ছাড়িয়া এদিক ওদিক চলাফেরা করে, ফলে প্রবল চুলকানি উপস্থিত হয়। ডিম পাড়লে ৮ থেকে ৯ দিনের ভিতর ডিমগুলি পুষ্ট হয় এবং তাহার মধ্য হইতে কীট শাবক বাহির হইয়া পীড়ার সৃষ্টি হয়। রোগীর হাত, হাতের আঙ্গুলের মধ্যবর্তী খাঁজে, হাত পায়ের কব্জি, জননেন্দ্রিয়, পেট,কানুই, নিতম্ব, উরু প্রভৃতি স্থানে এই কীটাণু সমূহের আক্রমণ প্রবণতা বেশী।
হিপার সালফ (৩, ৬, ৩০, ২০০)। পারদ অপব্যবহারের পর ইহা উপযোগী। চামড়ার ভাঁজে ভাঁজে রসযুক্ত উদ্ভেদ। তাহাতে খুবই চুলকানী। সন্ধি স্থানের স্ফোটকে অধিক চুলকানী। খোস মধ্যে অধিক পরিমাণে পুঁজ জন্মে এবং পুরু মামড়ি পড়ে।

সোরিনাম (২০০, ১০০০)। যদি কোন কারণে খোস পাঁচড়া অবরুদ্ধ হইয়া চাপা পড়িয়া যায় তাহলে এই ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগ পুনঃ প্রকাশিত হয়। কখনও গাঢ় বা পাতলা পঁচা গন্ধযুক্ত পুঁজে পরিপূর্ণ আবার কখনও উদ্ভেদ সমূহ শুষ্ক প্রকৃতির অথচ গন্ধযুক্ত। হাতের কব্জির চারিপাশে এবং কানুই এর মধ্যে খোস অধিক পরিমাণে হয়। মূল খোস পাঁচড়ার উদ্ভেদ সমূহ মিলাইয়া যাওয়ার পরেও বার বার একক ভাবে পুঁজপূর্ণ ষ্ফোটক জন্মাইতে থাকে।

মার্কারিয়াস ( ৩, ৬, ৩০)। শারা শরীরে চুলকানী বিশেষতঃ রাত্রিকালে বৃদ্ধি। শরীরের ত্বকে সামান্য আঁচড় লাগলে সেখানে পুঁজ হয়। কনুইয়ের উপর অধিক পরিমাণে পুঁজ পূর্ণ পাঁচড়া।

আর্সেনিক (৬, ৩০, ২০০)। খোস পাঁচড়ায় অতিশয় চুলকানী। চুলকানীর পর অসহ্য জ্বালা। জানুর উপর খোস অধিক জন্মায় পুঁজপূর্ণ হইয়া উঠে। শীতল জ্বলে চুলকানীর বৃদ্ধি কিন্তু গরমে চুলকানীর উপশম হয়।

সালফার (৩০, ২০০)। খোস পাঁচড়ার ইহা প্রধান ঔষধ। অতিশয় চুলকানী, চুলকাইবার সময় রতিক্রিয়ার মত সুখানুভব এবং পরে ভয়ানক জ্বালা। সন্ধিস্থানে এবং চামড়ার ভাঁজে যেমন আঙ্গুলের মধ্যস্থানে চর্মপীড়া ও চুলকানী। শরীরের নানা স্থানে পুঁজভরা উদ্ভেদ বাহির হয়।

সিপিয়া (৬, ৩০, ২০০)। সালফারের পর সিপিয়া অথবা সিপিয়ার পর সালফার প্রয়োগ বিশেষ উপকার হয়। আক্রান্ত স্থানে অতিশয় চুলকানী এবং জ্বালা। মুখ, বুক ও পেটে বাদামী রং এর দাগ পড়িলে বা ছোট ছোট উদ্ভেদ হইলে পুজভরা ষ্ফোটক উপর্যুপরি হইতে থাকিলে সিপিয়া প্রয়োগে আরোগ্য হয়। সন্ধ্যাকালে চুলকানীর ‍বৃদ্ধি। মামড়িযুক্ত উদ্ভেদ, স্ত্রী অঙ্গে প্রুরাইটিস নামক চুলকানী রোগ। সালফার বা গন্ধকের অপব্যবহার হইলে ইহা উপযোগী।

সালফিউরিক এসিড (৬, ৩০, ২০০)। খোস পাঁচড়া সম্পূর্ণ ভাল হইয়া যাওয়ার পর যদি প্রতি বসন্তকালে সারা দেহে চুলকানী হয় এবং একক পুঁজবটি দেহে প্রকাশিত হইতে থাকে তাহা হইলে ইহা উপকারী।

ক্রোটণ (৩০)। চর্মের আরক্ততা, চুলকানি ও বেদনা যুক্ত উদ্ভেদ। রসপূর্ণ ও পূজঁপূর্ণ পাঁচড়া। অন্ডকোষের পীড়া। উদরাম, শিশুদের উদরাময়ের সহিত পর্যায়ক্রমে চর্মরোগ দেখা দিলে ইহা অব্যর্থ। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.