Header Ads

জ্বর ( Fever ); বিভিন্ন জ্বরের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।


বিভিন্ন প্রকার জ্বরের লক্ষণ, প্রতিকার ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

জীবনে জ্বর হয়নি এমন লোক পাওয়া যাবে না। কোন কারণে যখন শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায় তখনই বলি ‘জ্বর’ হয়েছে। জ্বর কখনও কখনও অন্য রোগের উপসর্গ হতে হয়ে থাকে। থার্মমিটারে শরীরের তাপমাত্র ৯৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকলে স্বাভাবিক ধরা হয় এর উপরের তাপমাত্রকেই জ্বর বলে ধরা হয়ে থাকে। জ্বর অনেক রকমের হয়ে থাকে, যেমন- সামান্য জ্বর, সবিরাম জ্বর, একজ্বর, ওঠা-নামা জ্বর, পালাজ্বর, জীবানুঘটিত জ্বর যেমন টাইফয়েড, ম্যালেরিয়া, ভাইরাল জ্বর প্রভৃতি। জ্বরের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো- 

ক) শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি

খ) কাঁপুনি 

গ) শীত/ঠান্ডা অনুভব করা

ঘ) বমি বমি ভাব

ঙ) মাথা ব্যথা

চ) অবসন্নতা

ছ) পিপাসা অথবা পিপাসাহীনতা

জ) সারা শরীরে অথবা অংশ বিশেষে ব্যথার অনুভুতি

ঝ) চোখ-মুখ শুকনো, লাল, কাল অথবা বিবর্ণ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি। 

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাহায্যে বিভিন্ন জ্বরের এমনকি একই জ্বরের চিকিৎসার জন্য রোগীর লক্ষণভেদে বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এলোপ্যাথিক ঔষধ দিয়ে ডাক্তারগণ ইনফ্লামেশন, ভাইরাস / ব্যক্টেরিয়ার আক্রমন প্রতিহত করতে এনালজেসিক ও এন্টিবায়টিক ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন।কারন যাই থাকুক জ্বর হলে প্যরাসিটামল, এ্যাসপিরিন , মেভেরেমিন, ডাইক্লোরেফেন ও এন্টিবায়টিক দিয়ে জ্বর কমানো হয়ে থাকে। জ্বরের প্রকপ অনুযায়ী এসকল ঔষধ ডাক্তারগণ নিয়মিত দিয়ে থাকেন।

তবে বর্তমানে দেখা দেয়া ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে এন্টিবায়টিক প্রয়োগ করে জ্বর প্রশমিত করা যায় না; শুধু প্যারাসিটামল দিয়ে ডাক্তারগণ ডেঙ্গুজ্বরের ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগীর জীবনীশক্তিকে লড়াই করতে ছেড়ে দেন।

জ্বর সাধারণতঃ ক্রনিক রোগ নয়; এটির চিকিৎসা তড়িত করা প্রয়োজন। হোমিওপ্যাথির রয়েছে অফুরন্ত ঔষধ ভান্ডার এখান থেকে এ্যাকুয়েট কন্ডিশনের জন্য রোগীর লক্ষণ সংগ্রহ করে দ্রুত ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগী কম কষ্টভোগ করে জ্বর নিরাময় হয়। হোমিওপ্যাথিক ও বায়োকমিক ঔষধ গুলি বেশ নিরাপদ ভাবেই অনেক তীব্র রোগের কষ্ট অল্প সময়ের মধ্যে কমিয়ে দিতে পারে সেক্ষেত্রে উপযুক্ত ঔষধ শক্তি ও মাত্রা ঠিক থাকতে হয়।

বেশির ভাগ সময় রোগীরা একিউট কন্ডিশনের জন্য হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের নিকট যেতে চায় না; তাদের বদ্ধমূল ধারণা একিউট কন্ডিশনের জন্য হোমিওপ্যাথিক কাজ করতে সময় নিয়ে রোগীর কষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার অনেককেই বলতে দেখি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ লক্ষণ বা রোগের কষ্ট বৃদ্ধি করে দেয় সে ক্ষেত্রে রোগী রোগভোগের কষ্ট আরও বেড়ে যাওয়া ভয়ে হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেতে চান না। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ যদি সময়দিয়ে রোগীর কন্ডিশন বিবেচনায় শক্তি ও মাত্রা নির্ধারণ করেন তবে খুব কমই রোগ লক্ষণ তীব্র কষ্টদায়ক অবস্থায় পৌছায়।


হোমিওপ্যাথিক কিছু ঔষধ আছে যেগুলি জ্বরে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় তা প্রশমিত করে জ্বর নিরাময় করতে পারে ।এক্ষেত্রে ঔষধগুলি কী-সিমটম অবশ্যই মিল থাকতে হবে নতুবা ঔষধে আশানুরুপ নিরাময় পাওয়া যাবে না। এক সাথে একাধিক ঔষদ গ্রহণ না করে একটি ঔষধ লক্ষণ অনুযায়ী নির্বাচিত করে সেটিই গ্রহণ করা উচিৎ। অতিমাত্রায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণ ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই খুবই স্বল্পমাত্রায় সবসময়ই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।

বহুল ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ


১) নাক্সভোমিকা -৩০

২) একোনাইট নেপিলাস -৩০ / ২০০

৩) পালসেটিলা - ২০০

৪) ব্রায়োনিয়া এ্যালবাম -২০০

৫) ডালকামারা -৩০

৬) আর্সেনিক এ্যালবাম ২০০

৭) রাসটক্স - ৩০ / ২০০

৮) জেলসিমিয়াম -৩০

৯) টাইফয়েডিনাম ৩০ / ২০০

১০) ব্যাপ্টেসিয়া -৩০

১১) পাইরোজেন -৩০

১২) আর্নিকা- মন্টেনা - ৩০

১৩) কার্বোভেজ-৩০

১৪) মারকিউরিয়াস সল - ৩০

১৫) বেলেডোনা - ৩০

১৬) স্ট্যামোনিয়াম -৩০ / ২০০

১৭) লাইকোপোডিয়াম - ৩০  [ ২০০ শক্তি রোগীর রোগকষ্ট কখনও কখনও বাড়িয়ে দেয় ]

১৮) এন্টিম টার্ট -৩০

১৯) ইউপ্যাটোরিয়াম পার্ফ ৩০

স্ট্যাফিসেগ্রিয়াঃ লাবণ্যভাব কিছুই থাকে না, মুখমন্ডল শুষ্ক চোপসান। চক্ষু কোটরাগত এবং কৃষ্ণবর্ণ রেখা দ্বারা পরিবৃত।- ডাঃ উপেন্দ্রনাথ সরকার। 

 বহুল ব্যবহৃত বায়োকেমিক ঔষধ-


১) ফেরাম ফস - ১২ এক্স

২) কেলি মিউর -৬ এক্স


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.